ক্রিকেট-ফুটবল বাদে বাংলাদেশের অন্য সকল খেলায় কম-বেশি অবকাঠামোগত সংকট আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়াবিদদের কাছে পদকের প্রত্যাশা থাকলেও এর বিপরীতে ন্যূনতম অনুশীলন সুবিধাই মেলে না অনেক ডিসিপ্লিনে।
অন্য ফেডারেশনগুলোর যেখানে হাহাকার, সেখানে নিজস্ব ভবন থাকার পরও ক্রীড়াঙ্গনের আঁতুড়ঘর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আলাদা রুম দখল করে মহানগর লিগ কমিটির অফিস পরিচালনা করছে বাফুফে। এ নিয়ে ফেডারেশন কর্তাদের আছে আক্ষেপ।
দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফুটবলের বিমাল ভবন আছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের যে বিশাল স্পেসটা, যেকোনো একজন যদি দয়া করে আমাদের দিয়ে দেন। তো আমরা সেটাকে খেলার হলরুম অনেক কিছু বানাতে পারি।’
তবে এই সংগঠকের চাওয়া আমলে নেয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাফুফের মহানগর লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সাব্বের আহমেদ আরেফ।
তিনি বলেন, ‘না, এটা তো ফুটবল ফেডারেশনের। রুম আমাদেরই লাগবে। লিগ কমিটি চলতে গেলে রুম লাগবে না? অফিস লাগবে না? লিগ তো চালাবো, আমরা যেহেতু নতুনভাবে এসেছি, অন্যভাবেই চালাবো। খুব গুরুত্ব সহকারে লিগ চালাবো।’
ফেডারেশনগুলোর অবকাঠামো সংকট সমাধানে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিজ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান সুমন।
তিনি বলেন, ‘গণভবনটাকে যদি অন্য কোনো পারপাসে ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে আমাদের দাবি থাকবে সেটা পপুলারিজম জাদুঘরটা না করে এখানে বড় মাল্টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা।’
সংকটের বিষয়ে অবগত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেশন কর্তাদের অনুরোধের পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এনএসসির পরিচালক বলছেন, সংকট কাটাতে এবার ভিন্ন এক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শামসুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন ফেডারেশনগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। একটা স্পোর্টস ইনস্টিটিউট যদি করা যায় সেখানে সকল সুবিধা যেন পাওয়া যায়। আমরা আশা করছি স্পোর্টস ইনস্টিটিউট হবে।’