ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রতি মাসে সেরা গোল নির্বাচন করে দর্শকরা। ২০০৬-০৭ মৌসুমে ঘটে এক মধুর বিপত্তি। সে বছর ডিসেম্বরে সেরা ১০ গোলের ৯টিই ছিল দূরপাল্লার শটের গোল।
এস্টন ভিলার বিপক্ষে পল স্কোলস এর শট, দিদিয়ের দ্রগবা দারুণ ভলি, মাইকেল এসিয়েনের পা থেকে দুরন্ত গোলা কিংবা ম্যাট টেইলর রবিন ভান পার্সিদের বিপক্ষে দূরপাল্লার গোলগুলো এখন চমক জাগায়।
অথচ বর্তমান পরিসংখ্যান বলছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে দূরপাল্লার শটে গোলের সংখ্যা।
২০০৬-০৭ মৌসুমে আউটসাইড দ্যা বক্সে গোল ১৮৮টি। যেটি ২০২৩-২৪ এ দাঁড়ায় ১৪৩। বক্সের বাইরে থেকে শটের সংখ্যা ছিল ৪৬৪৫। গেল মৌসুমে যেটি ছিল ৩৪৩৯।
ঝুঁকি না নিয়ে কাছে গিয়ে গোল নিশ্চিত করার প্রবণতা বেড়েছে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে। শীর্ষ ৫ লীগে কাছ থেকে গোলে শট নেবার স্থানের গড় দূরত্ব নেমে এসেছে ১৬.১৩ থেকে ১৬.৯৫ শতাংশ।
প্রিমিয়ার লিগে আউটসাইড দ্যা বক্সে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তার গোল ৪১টি। পরের স্থানে ডেভিড বেকহ্যাম তার গোল ৩৪টি। ৩৩ গোল নিয়ে তিন নম্বরে জিমি হ্যাসেলবেক। তবে বর্তমানে তারকাদের এই তালিকায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
দূর পাল্লার গোল কমে যাওয়ার আরও একটা বড় কারণ সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব। খেলোয়াড়রা চায় কম ভুল করে যত বেশি গোল করা যায়।
দূরপাল্লার শটের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলও। ২০১০ সালে জাবুলানির বাঁক নিয়ে বিপাকে পড়েন ফুটবলাররা।
তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যানকে এক দিকে রাখলে জয়-পরাজয় এখনও খেলার মুখ্য বিষয়। সেক্ষেত্রে দূর পাল্লার শটের চেয়ে কাছ থেকে গোল করার ইচ্ছা বর্তমান ফুটবলের উদাহরণ।