এছাড়া দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটক আকর্ষণে ৭ থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিরুল আলম বলেন, ‘নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস পর্যটনের জন্য পিক আওয়ারের সময় পর্যটকদের আকর্ষণে আমরা এ ছাড় ঘোষণা করছি।’
পর্যটক আকর্ষণে হোটেল-রিসোর্টে দেয়া হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর) থেকে সীমিত পরিসরে বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে ভ্রমণের জন্য বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
পাহাড়ি-বাঙালির সহিংসতার জেরে গত ৬ অক্টোবর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার নিদের্শনা দেন জেলা প্রশাসক। এক মাস পর ৬ নভেম্বর দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এর পরপরই পর্যটকদের নানা ছাড়ের ঘোষণা দেয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।