চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল অন্যতম। গর্ভবতী নারী ও নবজাতক শিশুদের সেবায় এ প্রতিষ্ঠানের নাম ডাক ছিল ব্যাপক। তাই দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমেই এ হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন মেয়র ডা. শাহদাত।
বুধবার সকাল ১১টায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তিনি। এসময় রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথেও কথা বলেন মেয়র। পরিদর্শন করেন অপারেশন থিয়েটার ও বিভিন্ন কেবিন। কথা বলে জানার চেষ্টা করেন সেবার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে। তিনি জানান, এসি রুমে বসে সময় কাটিয়ে দিতে তিনি নারাজ। প্রতিটি সেক্টরে সশরীরে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাহ হোসেন বলেন, 'সমস্ত ফ্যাসিলিটিস এনসিওর করার জন্য আমি বদ্ধ পরিকর। আমি গতকাল আপনাদের সাথে কমিটমেন্ট করেছিলাম যে প্রতিদিন আমি দেখবো যে জনগণ সার্ভিস পাচ্ছে কি না। সেটা শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্য খাত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা অন্যান্য নগর সুবিধা আদায়ের ক্ষেত্রে হোক।'
মেয়র আফসোস করে বলেছেন, অতীতে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলোর বেশ সুনাম ছিল। এখন শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেই ভর্তুকি দিতে হয় ৫১ কোটি টাকা। এ অবস্থার পরিবর্তন চান জানিয়ে মেয়র জানান, জনবলসহ অন্যান্য সংকট দ্রুতই সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।
মেয়র ডা. শাহাদাহ হোসেন বলেন, 'এখানে আমাদের একজন প্যাথলজিস্ট থাকবে। ডেঙ্গুর টেস্টের জিনিসগুলো এখানে এনসিওর করা হবে। যেকোনো রোগী এখানে এসে অত্যন্ত সাশ্রয়ী দামে করাতে পারবে। বাইরে যে রেট আছে তার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম রেট এখানে পাবেন।'
মেয়র জানান, আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের ইচ্ছেমতো অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবেও অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা কাজে নিয়োজিত আছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
ডা. শাহাদাহ হোসেন বলেন, 'প্রতিটি ওয়ার্ডে আগের যে কাউন্সিলররা ছিল তারা যে ৪০ বা ৫০ জন করে এসবের জন্য লোকবল নিয়োগ করেছে তারা ঠিকমতো কাজ করছে কি না সেটা আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। তাদের সাথে আমি গিয়ে সরাসরি কথা বলবো যে তারা আদৌউ আছে কি না। যদি না থাকে আমি সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবো এবং নতুন রিপ্লেসমেন্ট তাদের হবে।'
এসময় মেমন হাসপাতালে দ্রুতই ডেঙ্গুর সকল ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। একই সাথে মশক নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান মেয়র।