নেপালের প্রথম নাকি বাংলাদেশের দ্বিতীয়? ২০২২ সালের নারী সাফ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি নাকি স্বাগতিকদের প্রতিশোধ? দক্ষিণ এশিয়ার 'নারী বিশ্বকাপ' খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ফুটবল প্রেমীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এসব প্রশ্নই।
হাজারো নেপালী দর্শকের উপস্থিতিতে শিরোপা ধরে রাখার মিশন মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। সেমিফাইনালে ভারত সেটি ভালোভাবেই টের পেয়েছে। তবে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন চাপের বলটা ঠেলে দিলেন নেপালের কোর্টেই।
সাবিনা খাতুন বলেন, যারা হোস্ট থাকে তাদের জন্য আরো বেশি চাপ থাকে। যারা হচ্ছে নিজেদের দেশে খেলা হয়।’
অবশ্য আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না দলীয় অধিনায়ক। অভিজ্ঞ নেপালের বিপক্ষে তুলনামূলক তরুণ দল নিয়ে প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জটা ঠিকই অনুধাবন করছেন। তবে চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের আশা ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন।
অধিনায়ক সাবিনা বলেন, আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড় তরুণ। এবং তাদের জন্য এটা নিউ এনভায়রনমেন্ট হবে বলে মনে হয়। তারপরেও যারা খেলবে আমার মতে তাদের অধিকাংশেরই এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
কোনোভাবেই বাইশের পুনরাবৃত্তি চাইবে না নেপাল। তবে গতবারের ছাদখোলা বাস আর তপ্ত রোদে দেশের মানুষের ভালোবাসার উষ্ণতা এখনো ভুলতে না পারা সানজিদারা যে এবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাইতো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্যক্ত করেছেন রঙ্গশালায় চব্বিশেও বাইশের ইতিহাস লেখার প্রত্যয়।