মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। শেষ সময়ে এসে হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা।
৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভাগ্য নির্ধারণী ভোট নিশ্চিতেই এখন তোড়জোড় চালাচ্ছেন শক্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিস। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ৯৩টি ইলেক্টোরাল ভোট থাকা দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যে।
সবশেষ জরিপের তথ্য বলছে, নেভাদায় হাড্ডাহাড্ডি অবস্থানে কামলা-ট্রাম্প। তবে পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা এবং জর্জিয়ায় কিছুটা এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান নেতা। অন্যদিকে উইসকনসিন ও মিশিগানে সামান্য এগিয়ে ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থী।
ভোটারদের মধ্যে একজন জানান, আমি মনে করি তারা ভীত। কারণ বুঝে গিয়েছে ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের স্কুল অব বিজনেসের জরিপেও দেখা গেছে, মার্কিন অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করার জন্য ট্রাম্পের ওপর ভরসা রাখছেন ৪৪ শতাংশ সাধারণ ভোটার। আর কামালার ওপর ভরসা ৪৩ শতাংশ ভোটারের। অর্থাৎ ট্রাম্পের তুলনায় জনসমর্থন বাড়াতে সাধারণ ভোটারদের কাছে এখন পর্যন্ত যুগোপযোগী অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতির বার্তা পৌঁছাতে পারেননি হ্যারিস। তাই দেশব্যাপী চালানো সবশেষ জরিপগুলোতে কামালার চেয়ে এগিয়ে থেকে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'নেভাদার মানুষকে উঠে দাঁড়াতে হবে। কামালা হ্যারিসকে বলতে হবে যে আপনার যথেষ্ট হয়েছে। কারণ আপনি সবচেয়ে খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট। সেইসঙ্গে চরমভাবে অযোগ্য। তাই বলার সময় এসেছে, কামালা, তুমি চাকরিচ্যুত! তুমি বরখাস্ত! বরখাস্ত! বের হও।'
এদিকে অভিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছ থেকে অনেক দূরে রয়েছেন ট্রাম্প। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন কামালা হ্যারিস। কামালাকে বিজয়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তারকা।
মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টাইলার পেরি বলেন, 'আমি যা বুঝতে পারি তা হল আমেরিকাকে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও স্বপ্ন নেই। আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই যিনি বিশ্বাস করেন যে এই আমেরিকান স্বপ্ন সবার জন্য এবং সেই প্রেসিডেন্ট হলেন কামালা হ্যারিস।'
এদিকে নির্বাচনের ১০দিন বাকি থাকলেও আগাম ভোটেরও হিড়িক পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত তিন কোটির বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন।
এবার কিছু রাজ্যে প্রাথমিক ভোটের রেকর্ড ভাঙলেও, ২০২০ সালের তুলনায় এখন পর্যন্ত মোট আগাম ভোট অনেক কম বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সময় শনিবার বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কে শুরু হবে আগাম ভোট।