সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ বন্দুক হামলা ও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছাকাছি শহর কাহরামানকাজান। শহরটিতে থাকা তুরস্কের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানির সদর দপ্তর লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে, বন্দুক হাতে দু'জন হামলাকারীকে দেখা গেছে। যাদের হামলায় টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের বেশ কয়েকজন হতাহতের শিকার হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে হামলার কারণ ও হামলাকারীদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়েছেন তুরস্কের আইনমন্ত্রী।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, 'একজন নরী ও একজন পুরুষ সন্ত্রাসী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের চারজন নিহত হয়েছেন এবং ১৪জন আহত। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
রাশিয়ায় চলমান ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্টও এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আর এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'তুরস্কে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনায় আমি শোক জানাচ্ছি। আমরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।'
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর তুরস্কে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছে জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ন্যাটোও এ ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটিতে তুরস্কের পুরোনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া সামরিক বিমানসহ নিজেদের তৈরি অন্যান্য আকাশযান বিক্রি করে থাকে তারা। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক কাজের জন্য তৈরিকৃত মাল্টিরোল হেলিকপ্টার।