কানাডা ও ভারতের মধ্যে বছরে গড়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ১৫শ' কোটি ডলারের কাছাকাছি। পাশাপাশি কয়েক লাখ ভারতীয় শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে পাড়ি জমান কানাডায়। কায়। আসেন লাখ লাখ পর্যটকও। সব মিলিয়ে হিসেব কষলে কয়েক বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয় প্রতি বছরে। এর মধ্যে দুই দেশের চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ অভিবাসীদের। কারণ যেকোনো সংকটে প্রথম সারিতে প্রভাব পড়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে।
গেল বছর যখন সংকটের শুরু, সেসময় পালটা ব্যবস্থা হিসেবে ভারত পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয় কানাডায়। এতে বিপাকে পড়ে অটোয়া। দেখা দেয় চাল-ডালসহ নানা পণ্যের ঘাটতি। কারণ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানিতে অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের ওপর নির্ভরশীল কানাডা। এমনিতেই সম্প্রতি কয়েক দফায় শিক্ষার্থী ভিসা হ্রাস করেছে ট্রুডো প্রশাসন। এর আওতায় ভারতীয়রা বেশি বাদ পড়ার শঙ্কাও প্রবল। অন্যদিকে একই ইস্যুতে চটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও।
ভারতের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক কল্লোল ভট্টাচার্য বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ধরনের অসুবিধা দেখছি এখানে সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।’
কানাডার বিভিন্ন শহরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন শিখ নেতারা। খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারত সরকারের সরাসরি জড়িত থাকার পুলিশ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে শিখ বাদে অন্য ভারতীয়দের ওপর ক্ষুব্ধ কানাডিয়ানরাও। এতে সার্বিকভাবে অভিবাসীবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়ছে গোটা কানাডায়। আগামী দিনে যার প্রভাব দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের ওপর পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের।