নওগাঁ সদর উপজেলার মখরপুর গ্রামে দেড় বিঘা জমিতে ড্রাগন বাগান করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা সাদেকুল। ইতোমধ্যেই ড্রাগন চাষ করে ঘুরেছে তার ভাগ্যের চাকা। এর মধ্যে একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা তিনি।
সাদেকুলের মতোই ছয় বিঘা জমিতে ড্রাগন বাগান গড়ে তুলেছেন জেলার মহাদেবপুরের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। চলতি মৌসুমে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার ফল বিক্রির আশা তার।
মাহবুবুর রহমান বলেন, 'এখন বর্তমানে আমার ছয় বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করি। প্রতিবিঘাতি মি চার লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করতে পারবো।'
শিক্ষক মাহবুবুর রহমান করছেন ড্রাগন চাষ। ছবি: এখন টিভি
চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় এই ফল খেতেও সুস্বাদু। চাহিদা থাকায় বাগান থেকে এই ফল সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে আগামীতে ড্রাগন ফল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব বলে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
একজন ড্রাগন চাষি বলেন, '১০ থেকে ১২ দিন পর পর প্রায় চার থেকে পাঁচ মণ করে ফল হয়। ই ফল আমার গ্রামেই শেষ হয়ে যায়।'
লাভজনক হওয়ায় কৃষক ও তরুণদের মধ্যে বাড়ছে ড্রাগন বাগান করার আগ্রহ। এতে বাড়ছে কর্মসংস্থানও ।
স্থানীয় বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে বেশি লাভের আশায় এই ফলে ক্ষতিকর হরমোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
একজন ক্রেতা বলেন, 'কিছু অসার্ধ বাগান মালিক বেশি মুনাফার লোভে ওষুধ দিয়ে ড্রাগনটা বড় করছে।'
কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। উচ্চ মূল্যে ফসলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ আমরা সবাই ড্রাগন চাষিদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছি যেন তারা ড্রাগন ফল থেকে একটা ভালো লাভের মুখ দেখে।'
চলতি বছর জেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। আর এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৮০০ টন। যার বাজারমূল্য অন্তত ১২ কোটি টাকা