দেশে এখন
0

৭ কোটি টাকায় নির্মাণ অথচ সেতুতেই ওঠার উপায় নেই

সংযোগ সড়ক না থাকায় মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর প্রায় ৭ কোটি টাকায় নির্মিত সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। সেতু নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণ না করায় সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে।

পীরপুর গঞ্জের হাট সড়কে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সেতু। তবে সেতুটির দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। ফলে এই সেতু স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। এতে ভোগান্তি কমছে না ৪ গ্রামের মানুষের। সেতুটি নির্মাণে ৯০ ভাগ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। সাঁকো দিয়ে পার হতে দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন জানান, কোনো দিক দিয়েই রাস্তা নাই। আর যেদিক দিয়ে রাস্তা আছে সেখানে ব্রিজ নাই।

আরও একজন জানান, শিগগিরই ব্রিজটাকে ঠিক করার দাবি জানাচ্ছি।

গঞ্জেরঘাটের ওপারে শত শত বিঘা জমিতে ফসল ও সবজি আবাদ হয়। এসব কৃষি পণ্য পরিবহণ, স্কুল-কলেজে যাতায়াত, রোগী বহনসহ অন্যান্য কাজে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিয়মিত। পথচারী, মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল, সবাই ঝুঁকি নিয়ে পার হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে সাঁকোর পরিবর্তে ব্যবহার হয় নৌকা।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, এপারে বাড়ি ওইপারে চাষ। কিন্তু মালামাল আনতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ঘুরে।

ব্রিজ হয়ে আমাদের কোনো লাভ হয় নাই। কোনো কিছু আনতে হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর ঘুরে আসতে হয় বলেও জানান আরও একজন স্থানীয়।

২০২২ সালের আগস্টে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হলে সেতুটির সংযোগ সড়ক ও বাকী নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, 'ইতিমধ্যে মূল্য তালিকার জন্য অফিসে যোগাযোগ করেছি। আগামীকালের মধ্যেই আশা করছি মূল্য তালিকা পেয়ে যাব। আর তার কিছুদিন পরেই অধিগ্রহণ কার্যক্রমটা দ্রুতই শুরু করতে পারবো।'