এক বছর ধরে বন্ধ সেতুর কাজ, বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ঘিওরবাসীর

মানিকগঞ্জে আংশিক সেতুর কাজ হয়েছে
মানিকগঞ্জে আংশিক সেতুর কাজ হয়েছে | ছবি: এখন টিভি
0

মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক বছর ধরে থেমে আছে সেতুর নির্মাণ কাজ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী থেকে শুরু করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান চান তারা।

মানিকগঞ্জের ঘিওর ও হরিরামপুর উপজেলার মানুষের অন্যতম প্রধান যাতায়াত পথ এ তাড়াইল বেড়িবাঁধ সড়ক। কিন্তু সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একটি অর্ধনির্মিত সেতু। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচলও একেবারেই বন্ধ। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়েই পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির সময় পারাপারে ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ। সাঁকো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় থাকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা।

স্থানীয়রা জানান, তারা যাতায়াত করতে পারে না এ সাঁকো দিয়ে। বৃষ্টির সময় কাদা হয়। যানবাহন চলাচল করতে পারে না এ ব্রিজের জন্য। ছোট ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। রোগীকে হাসপাতালে নেয়া যায় না।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান মাকসুদ। কাজ শুরুর কিছুদিন পরই দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে বিদেশে পাড়ি জমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাকসুদ খান। এরপর থেকেই থেমে আছে পুরো প্রকল্প।

আরও পড়ুন:

জনভোগান্তি লাঘবে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। আর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাকলিস্ট করার প্রক্রিয়া চলছে।

মানিকগঞ্জ ঘিওর বানিয়াজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, ‘শত শত মানুষ চলাচল করে এ স্থান দিয়ে। আমরা গত দুই বছর যাবত এটি এভাবেই দেখছি। কোনো উন্নয়ন দেখছি না। কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ রাখব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে।’

মানিকগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারের চুক্তি বাতিলের জন্য এরইমধ্যে ২৮দিনের নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের প্রেক্ষিতে তিনি জবাব দিয়েছেন। বাতিলের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুনভাবে টেন্ডার হবে। আমরা কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ও দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ পুনরুদ্ধারে সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হবে এমনটাই আশা এলাকাবাসীর।

এফএস