বৃষ্টি আর উজানের ঢলে টইটুম্বুর তিস্তা। আর তাই গেলো দুইদিন নদীতে জাল ফেলেননি জেলে আফসার উদ্দিন। জানালেন , 'বর্ষা আসলে নদীতে পানি আসে আর বর্ষা চলে গেলে নদীর পানিও শুকিয়ে যায়।'
গত ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টির প্রভাবে এমন পরিস্থিতি। রংপুর বিভাগ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি, আবার কোথাও ভারি বর্ষণে দুই দিন ধরে উত্তরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার কেবল রংপুরেই বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। পরের ২৪ ঘণ্টায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও তিস্তার পানি ছুঁইছুঁই করছে বিপৎসীমা।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তিস্তার শাখা নদীর পানিও। এছাড়া ছোট ছোট নদীগুলো পানির দেখা পাওয়ার পানি বেড়েছে খাল বিল জলাশয়েও। এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও তলিয়েছে নিচু এলাকার ফসলি জমি। ডুবেছে চরের মৌসুমি গ্রাম আর আবাদের জন্য বানানো অস্থায়ী বসতি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ তথ্যমতে, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সে.মি নিচে অবস্থান করছে।
রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, 'বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
এদিকে রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী চার দিন তিস্তার মিলনস্থল ব্রহ্মপুত্রের পানিও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রংপুর বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় এদিন ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে, জনজীবনে পড়েছে বিরুপ প্রভাব।