এ ব্যাপারে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, অপহ্নত চেয়ারম্যানকে রাজস্থলী সাব জোনের সেনাবাহিনী কর্তৃক উদ্ধার করা হয়ছে। অপহরণের সাথে কারা জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আদোমংয়ের স্বজনরা অভিযোগ করেন, অপহরণ ঘটনার দিন সকালে বাঙালহালিয়া ইউপি সদস্যদের সম্মানী উত্তোলনের জন্য আদোমং রাজস্থলী উপজেলা সদরে সোনালি ব্যাংকে যান। কিন্তু ফিরে আসার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে তিনি অপহরণ হন।
পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় চেয়ারম্যান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তার পরিবার বাঙালহালিয়া আর্মি ক্যাম্পে জানান। পরদিন চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে চেয়ারম্যানের পরিবার।
এর মধ্যেই অপহরণকারীরা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে চেয়ারম্যানের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্তকরণে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে চেষ্টা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু বারবার স্থান পরিবর্তন করায় কিছুটা বিঘ্ন হয় উদ্ধারকাজ।
সবশেষ মঙ্গলবার অপহরণকারীরা গাইন্ধ্যা ইউনিয়ন এলাকায় সরে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি জানতে পেরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অপহৃত আদোমং চেয়ারম্যানকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সেনাসদস্যরা আদোমংকে উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৫ আগস্ট ব্যাংক থেকে ফেরার পথে অপহরণ হন তিনি।