এশিয়া
বিদেশে এখন
0

সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে বিরোধী অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গ-সিবিআই

আর জি করের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও তদন্ত সংস্থা সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সিবিআইকে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ দেয়া হয়েছে। যদিও তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি তারা ফুটেজ পেয়েছেন মাত্র ২৭ মিনিটের। এসময়, সিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ জানান খোদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিকে, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

যে সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে আর জি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়- এবার সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ রাজ্য সরকার।

গেল মঙ্গলবারের শুনানিতে সিবিআই অভিযোগ করে আলামত হিসেবে তাদেরকে ২৭ মিনিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেয় কলকাতা পুলিশ। যদিও সুপ্রিমকোর্টে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।

ডাক্তারদের নিরাপত্তায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সরকারি হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন, সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আদালত।

এছাড়া, নারীদের রাতে কাজ করা নিয়ে রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তা অবিলম্বে বদলানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন শুনানিতে উঠে আসে ডাক্তারদের কর্মবিরতির প্রসঙ্গও। প্রধান বিচারপতি বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে কাজে ফেরানোর দায়িত্ব রাজ্যের। তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সে বিষয় শুনতে আগ্রহী আদালত। যদিও আন্দোলনকারীদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে রাজ্যের দাবি বিভ্রান্তিকর।

এর আগে সোমবার, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে ৫ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পর তাদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিকর্তা ও ডিসি নর্থকে অপরাসণের সিদ্ধান্তে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এসবের পেছনে মমতার উদ্দেশ্য একটাই- চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে ফেরানো। তবে আদালতের রায় আসার আগ পর্যন্ত পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না সাফ জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সাথে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা কবে কর্মক্ষেত্র ফিরবেন তা জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ।

তবে, রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনার পর ২ আইপিএস ও ২ স্বাস্থ্য কর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত আসায়- একে আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা। আর, সরকার পতনের দাবি কোনোমতে সামাল দিয়ে আপাতত স্বস্তিতে মমতার সরকার।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর