এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টে পর্যন্ত সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল সত্য উদ্ঘাটন, দায়-দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনসমূহ ও তাদের পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য দায়িত্ব পালন করছে।
বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য দেয়ার জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যেসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাবে না এবং প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়নি তা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল। এই ইমেইলে তথ্য পাঠানো যাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত দল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং তদন্তটি কোনো অপরাধ অনুসন্ধান বা আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত।
এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে গোপনীয়। তদন্ত চলাকালীন, তদন্ত দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার না দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস তদন্তের প্রধান ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এছাড়া বিস্তারিত তথ্যের জন্য জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্রের সাথে এই ইমেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।