আজ, (শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার বিভিন্ন সময় বঙ্গোপসাগরের একাধিক এলাকায় এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কতজন নিখোঁজ রয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও একাধিক হতাহতের আশঙ্কা করছেন ট্রলার মালিকরা।
হাতিয়ার বোট মালিক নিশান মিয়া জানান, গত কয়েকদিন মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় অনেকগুলো মাছ ধরার ট্রলার। আজ সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সারাদিন বিভিন্ন ঘাটে ফিরতে শুরু করে ট্রলারগুলো।
সন্ধ্যায় ঘাটে ফেরার সময় ঝড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। এসময় বাবর মাঝির একটি, জান মিয়া মাঝির একটি, দেলোয়ার মাঝির একটি, হেলাল উদ্দিন মাঝির একটি, শহীদ মাঝির একটি, মেহরাজ মাঝির একটি ও ইউনুছ মাঝির একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়।
এসময় পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে প্রায় ৩০জন মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করা হলেও একাধিক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীবিত উদ্ধারকৃত মাঝি-মাল্লারা ঘাটে ফিরে এসেছেন।
হাতিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, ট্রলার ডুবির বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার আগে সূর্যমুখী এলাকায় একটি বোট ডুবে যাওয়ার খবর মাঝিরা আমাদের দেয়।
খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে পরবর্তী সময়ে তারা জানায় ওই বোট থেকে ১৮ জেলেকে অন্য বোটের মাধ্যমে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বোটটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। বাকি ট্রলারগুলোর বিষয়ে আমরা খবর নিচ্ছি।