কৃষি , মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ
দেশে এখন
0

নড়াইলে চাহিদা মিটিয়ে মাছের পোনা যাচ্ছে ১২ জেলায়

দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ নড়াইলের একমাত্র সরকারি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি। যার কারণে দূর-দূরান্তের হ্যাচারি থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করতেন নড়াইলের মৎস্য চাষিরা। এতে সময়, শ্রম ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা জেলার একমাত্র হ্যাচারি থেকে সহজেই কম দামে পোনা পাওয়ায় হাসি ফুটেছে প্রান্তিক হাজারো মাছ চাষিদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মাছের পোনা যাচ্ছে আশপাশের অন্তত ১২টি জেলায়।

বিল আর ঘের বেষ্টিত নড়াইলের মানুষের প্রধান জীবিকার উৎস কৃষি কাজ ও মৎস্য চাষ। ধান, পাট, গমসহ বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি এ জেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ মাছ চাষের সাথে জড়িত।

মাছ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের অপ্রতুলতায় দীর্ঘদিন জেলার মাছ চাষিদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। দূর-দূরান্ত থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করতে বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এরপর ২০১৩ সালে গড়ে ওঠে জেলার একমাত্র বেসরকারি মাছের হ্যাচারি।

যেখানে সারাবছর উৎপাদন হচ্ছে রুই, কাতল, সিলর্ভার কাপ, মিনার কার্প, গ্লাস কার্প, পুটিকার্পসহ অন্তত ১৫ জাতের দেশি-বিদেশি মাছের ব্রুড ও পোনা। বছরে অন্তত ২ হাজার ৫শ' কেজি ব্রুড, ৫শ' মন ধানী পোনাসহ অসংখ্য পোনা মাছের উৎপাদন হচ্ছে এখানে। 

এতে উপকৃত হচ্ছে জেলার হাজারো মৎস্য চাষিসহ আশপাশের অন্তত ১২টি জেলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মাছের উৎপাদনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হ্যাচারিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেকার যুবকদের।

হ্যাচারি মালিক বলেন, 'আমিষের চাহিদা পূরণ করছি। এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের হ্যাচারি থেকে প্রতিদিন আমাদের ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়।'

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, এই হ্যাচারির মাধ্যমে জেলার চাষিদের উৎপাদন খরচ কমে গেছে। পোনা সংগ্রহে সময়, শ্রম ও খরচ সাশ্রয় হচ্ছে মাছ চাষি দের।

নড়াইলের জেলা মৎস্য অফিসার এইচ এম বদরুজ্জামান, 'এই হ্যাচারী থেকে নড়াইল জেলার মাছ চাষিরা অনেক উন্নত মানের মাছের পোনা পাচ্ছে। আমাদের মৎস অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত তদারকি হয়।' 

নড়াইল মাছ চাষে উদ্বৃত্ত জেলা। প্রায় আট লক্ষ মানুষের ১৬ হাজার টন মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় অন্তত ১৮ হাজার টন মাছ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অন্তত ২ হাজার টন মাছ সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর