এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কলকাতা!

ভারতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কলকাতা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুরো শহরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে বিক্ষোভ করেন পশ্চিমবঙ্গের হাজারও নারী। এদিকে, বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বীভৎসতা শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের পরিবার জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদের ঘুষ দিতে চেয়েছিলো পুলিশ। এদিকে, পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আজও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

শহরের সব বাতি নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাজপথে হাজার হাজার নারীদের পথচলা। 'রাতের দখল নাও' ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে আরজি কর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার চাইছেন তারা। বুধবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পালন করা হয় বিক্ষোভ।

বিক্ষোভের সময় কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ, শ্যাম বাজার, যাদবপুর, ধর্মশালা ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আলো নিভিয়ে দেয়া হয়। তাদের মুখে একটাই স্লোগান 'আলো আসতে দাও, ন্যায়বিচার পেতে দাও'। বিক্ষোভে যোগ দেন বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষও। এক ঘণ্টার জন্য কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আলো নিভিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মেয়েটিকে স্মরণ করা হয়।

এই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাজ ভবনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর আনন্দ বোস। এ সময় দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার কার্যকরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিক্ষোভে যুক্ত হন নিহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের পরিবারও। নৃশংসতার শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা দেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিতার বাবা মা জানান, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ তাদের মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে চেয়েছিল।

এদিকে, বিক্ষোভে যোগ দেন বিজেপি নেতারাও। এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসসহ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন তারা। মোমবাতি প্রজ্বলন করে নয়াদিল্লীতেও হয় বিক্ষোভ।

বুধবার রাতের বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার সকালে লালবাজারে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার ভিনিত গোয়েলের কাছে তার পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি দেন তারা। এদিকে, ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত অধ্যক্ষ ড. সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তোপের মুখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মঙ্গলবার বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়।

এসএস