অর্থনীতি
0

পর্যটন কেন্দ্রে কাটছে স্থবিরতা, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বন্যায় বেশ কিছুদিন পর্যটন খাতে স্থবিরতা থাকলেও তা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দেশের পর্যটন খাত। ছুটির দিন হওয়ায় সমুদ্র সৈকতে বেড়েছে পর্যটকের উপস্থিতি। তবে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে ব্যবসা না বাড়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।

বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরের রূপ যৌবনা হয়ে ওঠে। মানসিক প্রশান্তি দেয় প্রকৃতি। প্রকৃতির সেই টানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পর্যটক এসেছেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটায়।

পূবালী বাতাসে উত্তাল সাগরে স্নান করে নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান আসা পর্যটকরা। অনেকে ঘুরছেন সৈকতের ঝাউ, নারিকেল ও তালবন সহ দর্শনীয় বিভিন্ন স্পটে। বর্ষা স্নাতো সৈকতে ঘুরতে এসে কুয়াকাটার রূপবৈচিত্রে মুগ্ধ পর্যটকরা।

কয়েকজন পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, 'এখানে কম বাজেটের মধ্য সেরা আনন্দ পাওয়া যায়। অনেক ঢেউ উঠছে, সবকিছুই আলহামদুলিল্লাহ। বেস্ট ট্যুর যাবে ইনশাল্লাহ।'

আরো একজন পর্যটক জানান, 'তিনদিন থাকবো, সমুদ্রের ঢেউ ভালোই লাগছে। আমি আসছি ঢাকার গাজীপুর থেকে।'

পর্যটকের আগমন বেড়েছে দুই শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে। এসব হোটেল মোটেলে ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। যোগাযোগ বাধা দূর করা হলে আরো পর্যটকের আগমন বাড়বে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, তুলনামূলকভাবে আজ একটু গেস্ট বেশি। বিগত দিনগুলোত বন্যা হওয়ার কারণে কুয়াকাটাতে পর্যটক কম।আজকে হচ্ছে সরকারি ছুটির দিন এরই মধ্যে আমাদের হোটেলে ৭০% বুকিং হয়ে গেছে।

পর্যটকের আগমন বাড়লেও আশানুরূপ বেচাবিক্রি না হওয়ায় সৈকত সংলগ্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হতাশ। পর্যটক আছে কিন্তু আগের মতো না। আর বেচা-কেনা ও অনেক কম বলেও জানান ব্যবসায়ীরা

আরো এক ব্যবসায়ী বলেন, 'আগে বেচা-কেনা অনেক বেশি হত প্রতিদিন ১০ হাজারের মতো । আর এখন ৩-৪ হাজার ও বিক্রি হয় না।'

এদিকে কক্সবাজারেও অস্থিরতা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায়। ছুটির দিনে সৈকতের নগরীতে বেড়েছে পর্যটকের উপস্থিতি। হোটেল, রিসোর্ট গেস্টহাউস ও রেস্তোরাঁয় প্রাণ সঞ্চার হতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর সৈকতের শহরে এসে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।

পর্যটকরা জানান, এখান এসে আমার অনেক ভালো লাগছে । সমুদ্র সৈকত আমার অনেক পছন্দের জায়গা।

পর্যটক আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। হোটেল, রিসোর্ট গেস্টহাউসে বুকিং হয়েছে ২০-৩০ শতাংশ কক্ষ। ব্যবসায়ীদের আশা দ্রুত লোকসান কাটিয়ে উঠার।

বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতির কারণে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রগতি হবে ।আর পর্যটক ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখবে বলে মনে করি।'

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও ৩ শতাধিক রেস্তোরাঁ।পর্যটকের আগমন আরো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতিশীল হবে ব্যবসা-বাণিজ্য দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িদের।

tech