পরিবেশ ও জলবায়ু
0

রাঙামাটির ৬ উপজেলায় পানিবন্দি ১৭ হাজারের বেশি মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাড়ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। রাঙামাটি পৌর এলাকাসহ ৬ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ডুবছে সড়ক-ঘরবাড়ি। এতে ১৭টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। লংগদু উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২২০ জন বন্যাদুর্গত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ১৮ ইঞ্চি খুলে দেয়া হলেও দ্রুত কমছে না পানি।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদু, বিলাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরের পৌর এলাকা, জুরাছড়ি ও নানিয়ারচরে ১৭টি ইউনিয়নে প্লাবিত হয়ে ১৭ হাজার ৩শ' মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে লংগদুতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২২০ জন বন্যাদুর্গত। এসব এলাকায়  ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

রাঙামাটির রাঙাপানি আমছড়ির বাসিন্দা ধন চাকমা বলেন, 'হঠাৎ করে আসা বন্যার পানিতে সব জমিন ডুবে গেছে,  খেত-খোলা ডুবে গেছে, ধনিয়াপাতার খেত করেছি, তাও সব ডুবে গেছে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।'

পৌর এলাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা রিনা আক্তার বলেন, 'আজ এক সপ্তাহ ধরে বাসার মধ্যে পানি। রান্না করে খেতে পারছি না। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি না। অনেক কষ্ট আর আতংকে আছি।'

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরোজ নাবিল বৈশাখ বলেন, 'জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের  এরইমধ্যে ৪৭ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ও ৮ লাখ টাকা নগদ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।'

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ আগস্ট থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট কয়েক ধাপে ৬ থেকে  ১৮ ইঞ্চি খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্হাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।

কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল(মিনস সি লেভেল)। এই স্তরের নিচে স্থাপনা তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও না মানায় হ্রদের পানি বাড়লেই এমন বন্যা পরিস্থিতিতে পড়েন ভুক্তভোগীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ ছিল ১০৮.৫৯ ফুট মিনস সি লেভেল। অথচ এসময় থাকার কথা ৯৮.০১ ফুট ফুট মিনস সি লেভেল। অর্থাৎ এখনও ১০ দশমিক ৫৮ ফুট পানি বেশি রয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। পানি কমাতে ১৬টি জলকপাট ১২ ইঞ্চি করে চালু রাখা হয়েছে।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর