৬৮ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যার কবলে ত্রিপুরা। টানা ৪ দিনের ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটি। বন্যা ও ভূমিধসের প্রতিনিয়তই বাড়ছে প্রাণহানি।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার ৮০ শতাংশই পানির নিচে। রাজধানীকে ঘিরে রাখা ২টি নদী হাওড়া ও কাটাখালের পানি না কমায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। অন্যদিকে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি কমারও কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার প্রায় ৫শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বোগাফা জেলায়। তাই শুক্রবার রাজ্যজুড়ে রেড অ্যালার্ট অব্যাহত রেখেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
রাজ্যটিতে বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ। বাড়িঘর হারিয়ে ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের কয়েকশ সদস্য হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন দুর্গত এলাকায়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
সম্প্রতি ৩১ বছর পর মধ্য ত্রিপুরায় ডুম্বুর বাঁধের তিনটির মধ্যে একটি গেট খুলে দেয়া হয়। এর জেরে প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের বেশকিছু অঞ্চল। তবে ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, উজানে পানির স্বাভাবিক ঢলের কারণেই প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশ।
জিন্দাল স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত তারা যে জলাধারের কথা বলছে,' সেটি বাংলাদেশ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ত্রিপুরার বাসিন্দারাই বন্যায় বিপর্যস্ত। এটি পানির স্বাভাবিক ঢল। আমি এটাই বুঝতে পারছি না, বাংলাদেশিরা কেনো মনে করছে যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে জলাধারের গেট খুলে দিয়েছে?'
এদিকে উত্তরাখণ্ডে ভারি বৃষ্টিতে ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকজন নেপালি পর্যটক। উত্তর প্রদেশে তলিয়ে গেছে মথুরাসহ কয়েকটি শহর।