দেশে এখন
0

পুলিশের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, বৃহস্পতিবারের মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার ঘোষণা

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। আজ (রোববার, ১১ আগস্ট) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান এ ঘোষণা দেন।

তারা জানান, আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। কাল থেকে পুরোপুরি শুরু হবে ডিএমপির কার্যক্রম। এছাড়া ঢাকার বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা ১৫ তারিখের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ও সহিংসতায় হতাহতের ঘটনার পর বেশকিছু দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।

এর আগে রোববার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের ডিজিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় পুলিশ সদস্য নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসা, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ বেশ কিছু দাবি জানায় পুলিশ সদস্যরা।

তবে পুলিশের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজ নতুন সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। এই বাহিনীকে আর কোনো রাজনৈতিক দল লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেন।

রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকরা আমাকে পছন্দ করেন বা না করেন, আমি পরোয়া করিনা। অত্যন্ত পরিস্কারভাবে বলছি, এখন এ দেশে রাজনীতি করা কঠিন হবে। পুলিশকে আপনি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। পুলিশ কমিশনের নীতিতে পুলিশ চলবে। আপনি পুলিশ কমিশনকে অর্ডার দেবেন, এরপর পুলিশ কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে।’

tech