বাজার
0

চট্টগ্রামে স্বাভাবিক হয়নি মার্কেট, ব্যাপক ক্ষতির শিকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রামে এখনও স্বাভাবিক হয়নি মার্কেট, শপিংমল আর রেস্টুরেন্টের বেচাকেনা। নিরাপত্তা শঙ্কায় মার্কেট-শপিংমলে ক্রেতা-বিক্রেতা কম। সেনাবাহিনীর পরামর্শে বেশিরভাগ মার্কেট-শপিংমলই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। গেল এক মাসে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান ব্যবসায়ী নেতাদের।

চট্টগ্রামের অন্যতম প্রাচীন ব্যবসায়িক কেন্দ্র নিউমার্কেট। দেশব্যাপী আন্দোলন শুরুর পর থেকেই প্রভাব পড়ে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যে।

এই মাকের্টের প্রায় ৫০০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠিানে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক বেচাকেনা হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। তবে গেল একমাসে সে বেচাকেনায় ধস নেমেছে। বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানগুলো এখনও খুলছেন না মালিকরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতি এবং নিরাপত্তহীনতাই এর প্রধান কারণ। এখনও স্বাভাবিক হয়নি মার্কেট, শপিং মল কিংবা রেস্টুরন্টের ব্যবসা। বেশিরভাগ মার্কেট-শপিং মলই সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

একই অবস্থা রিয়াজুদ্দীন বাজারেও। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক মার্কেট। যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েক হাজার। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এখানেও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে।

মার্কেটের ব্যবসায়ী, নিজ তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। তবে দোকানপাট খুললেও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি। ফলে ক্রেতা না থাকায় খুব একটা বেচাকেনা নেই। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল এক মাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত হাজার কোটি টাকার লেনদেন।

চট্টগ্রাম রিয়াজুদ্দীন বাজারের তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, 'এইটা একটা ব্যবসায়িক এলাকা এখানে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। ঝুঁকি রয়েছে তবে ব্যবসায়ূদের নিজ উদ্যোগে সজাগ হতে বলা হয়েছে।'

এসব মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে আমদানিকারক, পাইকার এবং খুচড়া তিন ধরনের ব্যবসায়ীই রয়েছেন। তবে গেল একমাসে বেশি ক্ষতি শিকার হয়েছেন হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাই এ সময়টায় ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফসহ ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরীতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি সরওয়ার কামাল বলেন, 'পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। আশা করছি সামনের দিন ব্যবস্যা শুরু করা যাবে।'

নগরীতে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্টের সংখ্যা কয়েক হাজার। গত একমাসে ক্রেতা না পেয়ে বড় অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারাও। বেশির ভাগ রেস্টুরেন্ট খুললেও, নিরাপত্তার কারণে কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট এখনও বন্ধ আছে।

tech