অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিভাগীয় শহরগুলোসহ প্রান্তিক পর্যায়ে শুরু হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। কর্মবিরতি ছেড়ে পুলিশ লাইন্স থেকে থানায় যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সদস্যরা। শুরু হচ্ছে নিয়মিত পুলিশিং কার্যক্রম। এতে শহর নগর থেকে শুরু করে গ্রামপর্যায়ে ফিরতে শুরু করেছে স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ, চকবাজার, পতেঙ্গাসহ কয়েকটি থানায় ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় থানায় সেনাবাহিনীসহ শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। প্রথম দিনেই অনেকে পুলিশি সেবার জন্য উপস্থিত হন। তবে, অনলাইন সেবা কাঠামো স্বাভাবিক না থাকায় দেয়া যায়নি সেবা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘থানার অনলাইনের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এমনি পুলিশ, সোর্সরা আসতে শুরু করছে।’
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক গতিতে ফেরাতে বরিশালেও যোগ দিয়েছে পুলিশ। সীমিত পরিসরে হলেও নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় কার্যক্রম শুরু করেন তারা। সাধারণ মানুষের সেবা দিতে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এ থানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী আছে। একজন সার্জেন্টের নেতৃত্বে তারা এসেছে। থানার সামনেই আছে তারা। যেকোনো সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের সাথে থাকবে।’
বিভাগীয় শহরের বাইরেও থানায় ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। চার দিন পর পিরোজপুর সদর থানায় সীমিত আকারে শুরু হয় কার্যক্রম। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় থানার কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশদের ওয়েলকাম ব্যাক জানানোর জন্য আমরা এসেছি। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেছি আমরা। স্বল্প আকারে তারা কার্যক্রমও শুরু করেছে।’
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর থানায়ও শুরু হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের সেবা দেয়ার কার্যক্রম। অভিযোগ গ্রহণসহ আইনি নানা পরামর্শ পাচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। এতে খুশি হয়েছে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, ১১দফা দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে নাটোরের ৭ থানার পুলিশ সদস্যরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিলেও নিরাপত্তার স্বার্থে কাজে যোগ দেয়নি জেলার প্রায় ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য। শুক্রবার সকাল থেকে নাটোর সদর থানার সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে টহল অব্যাহত রাখে সেনা সদস্যরা।
বগুড়ার চিত্রও অনেকটা অভিন্ন। এখনও কাজে ফেরেনি পুলিশ। এছাড়াও বেশকিছু জেলায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি থানা পুলিশের সেবা।