মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

মার্কিন কংগ্রেসে যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীর আখ্যা পেলেন নেতানিয়াহু

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অংশ হিসেবে বুধবার (২৪ জুলাই) কংগ্রেসে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসময় হামাসের বিরুদ্ধে জয় অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীর আখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

মার্কিন কংগ্রেসে একমাত্র ফিলিস্তিনি হিসেবে কাজ করা রিপা. রাশিদা ত্বলাইব ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে এ আখ্যা দেন। নেতানিয়াহু'র ভাষণের সময় তিনি হাতে প্লেকার্ড নিয়ে দাঁড়ান। যার একপাশে 'যুদ্ধাপরাধী' এবং অন্যপাশে 'গণহত্যার জন্য দায়ী' লেখা ছিল।

এছাড়াও গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মি এবং বন্দিদের পরিবার হাউস চেম্বারে উপস্থিত থেকে ভাষণ শোনেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন যুদ্ধের অবসান এবং বাকি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে দাঁড়িয়ে স্লোগানসহ টি-শার্ট প্রদর্শন করেন। নিরাপত্তাকর্মীরা পাঁচজনকেই সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়ার কথা জানান নেতানিয়াহু।

ভাষণের কারণে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে যে অস্থিরতা কাজ করছিল তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদের অধিকাংশ সদস্যই তার ভাষণ প্রত্যাখান করেছেন। কংগ্রেস ভবনের বাইরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী চলমান যুদ্ধ ও সৃষ্ট মানবিক সংকটের জন্য নেতানিয়াহু'র নিন্দা করেন।

ক্যাপিটালের কাছে কিছু বিক্ষোভে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর মধ্যে ক্যাপিটল গ্রাউন্ডের কয়েকশ' গজের মধ্যেও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা স্প্রে-পেইন্টেড মার্বেল মূর্তির সঙ্গে ফিলিস্তিনের পতাকাও তুলে ধরেন। ক্যাপিটলের আশেপাশের রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২৯৩ দিনের যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৯ হাজার ১৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার। পুরো উপত্যকাকে একতরফা আগ্রাসনে ছারখার করেও কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে অস্ত্রবিরতির বিষয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী, বলছেন বিশ্লেষকরা।

গাজায় বন্দি ইসরাইলি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও ভাষণে এড়িয়ে গেছেন নেতানিয়াহু। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ ইসরাইলিদের মাঝে। বুধবারও তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ইসরাইলিরা।