গত মাসে মার্কিন পপ স্টার টেলর সুইফটসহ একাধিক শিল্পী যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। এরপর থেকেই দেশটিকে হোটেল কক্ষের ভাড়া ঊর্ধ্বমুখী। সার্বিকভাবে এটি বিভিন্ন পরিষেবার ব্যয় নিয়ে বিওইর পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে।
ডেলয়েটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, ‘এক সময় যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো অঞ্চলের তুলনায় কম। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দামও এক সময় নাগালের বাইরে ছিল। বর্তমানে তা নিম্নমুখী থাকলেও তা সাময়িক সময়ের জন্য।’
স্টুয়ার্ট বলেন, যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন খাতে কার্যক্রম বাড়ায় বছরের শুরুতেই মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। আর এ কারণে চলতি বছর বিওইর হাতে সুদ হার কমানোর তেমন কোনো সুযোগ নেই।’
রয়টার্সের জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন যে, জুন মাস নাগাদ দেশটির ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে এ মূল্যস্ফীতি হার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্যানুযায়ী, পরিষেবা খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশে।
ডয়চে ব্যাংকের প্রধান যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় রাজা জানান, টেলর সুইফটের ভ্রমণের সঙ্গে হোটেলের দাম বৃদ্ধির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মতে আগস্টের জন্য সুদ হার কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা স্বাভাবিক আছে।’