বিদেশে এখন
0

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্স

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দুক হামলার পর জনসম্মুখে প্রথমবারের মতো এসে রানিং মেট হিসেবে ওহাইও'র সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে বেছে নিলেন ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা। এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান গোপন নথি সংক্রান্ত মামলা খারিজ করেছেন আদালত। ফ্লোরিডার আদালতের এই সিদ্ধান্তকে সন্দেহজনক হিসেবে মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এ যেন বিজয়ীর বেশে প্রত্যাবর্তন। কানে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন বার্তা দিলেন নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তিনি।

স্থানীয় সময় সোমবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনের দৃশ্য এটি। গেল শনিবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণে বেঁচে যাবার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন প্রত্যাবর্তনের দিনে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২ হাজার ৩শ ৮৭ জন ডেলিগেট সমর্থন জানান ট্রাম্পের প্রতি। এতেই নিশ্চিত হলো ট্রাম্প বাইডেন রিম্যাচ, যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলটির সমর্থকরা।

সমর্থকদের একজন বলেন, ‘খুবই শক্তিশালী ব্যক্তি তিনি। আমাদের আশা, দৃঢ় চিত্তের ট্রাম্প প্রত্যেক মার্কিনির জন্য লড়াই করবেন।’

 আরেকজন বলেন, ‘দেশের জন্য লড়াইয়ে সম্মত হওয়ায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প অনুমেয় হলেও রানিংমেট কে হবেন, তা নিয়ে ছিল জল্পনা। যার খোলাসা হলো সম্মেলনেই। রানিংমেট হিসেবে ওহাইও'র সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। এক সময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন ভ্যান্স। তবে ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হন তিনি। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে রানিংমেট নির্বাচিত হয়েছেন ভ্যান্স। অন্যদিকে জেডি ভ্যান্সকে ট্রাম্পের ক্লোন বা প্রতিরূপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা নিশ্চিতের দিনে আইনি লড়াইয়েও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গোপন নথি সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। বিচারক জানান, মামলা দায়েরকারী বিশেষ কাউন্সিলকে নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সংবিধান সম্মত ছিল না। তাই এই মামলার কোনো বৈধতা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপক্ষের সাবেক কৌসুলি নেয়ামা রাহমানি বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির মামলাটি ট্রাম্পকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছিলো। তবে গোপন নথি সংক্রান্ত মামলায় সব প্রমাণ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ছিল। তাই সবচেয়ে শক্তিশালী মামলাটি খারিজ হয়ে যাওয়া ট্রাম্পের জন্য বড় বিজয়।’

মামলার বিচারক ছিলেন অ্যালিন ক্যাননকে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন যাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন স্বয়ং ট্রাম্প। তাই এমন রায়কে সন্দেহজনক হিসেবে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হইনি। যে যুক্তি দেখিয়ে মামলা খারিজ হলো তা সন্দেহজনক। কারণ দায়িত্বে থাকাকালীন অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে দায়মুক্তি দেয়া সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত নই।’

প্রেসিডেন্টের অফিস ছাড়ার সময় অবৈধভাবে প্রায় ৩০০ গোপন নথি নিজস্ব অবকাশযাপন কেন্দ্র মার-এ-লাগোতে নিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। নথিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচি ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল।

ইএ