তিন দিন আগে ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে দুবাই হয়ে চট্টগ্রামে আসেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ বাহামার এক নারী। তার সাথে ছিল না কোন লাগেজ। ব্রাজিল থেকে কোকেনের চালান আসার খবর থাকায় আগ্রাবাদ হোটেলে অবস্থানকারী স্টেলিয়া শান্তা নামের ওই বিদেশিকে নজরদারিতে রেখেছিল নিরাপত্তা সংস্থা।
অবশেষে বিমানবন্দরে ব্যাগেজ নিতে এসে এপিবিএন, নিরাপত্তা সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে কোকেনসহ ধরা পড়লো ওই নারী। ব্যাগেজ তল্লাশি করে ইউপিএসের ফ্রেমে মিললো পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের চার কেজি কোকেন। তবে রিসিভার বা পাচারকারী চক্রের সদস্যদের ধরার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন বিমানবন্দরের পরিচালক।
চট্টগ্রাম শাহআমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, 'সবকিছু মিলিয়ে আমাদের একটা তদন্ত চলছে। এর পেছনে যারা আছে তাদের যেন আমরা ধরতে পারি এ নিয়ে আমরা কাজ করি। তথ্যগুলো এমন যে একটা তথ্য আমরা জানতে পারলে তারা সতর্ক হয়ে যায়। এর কারণে পেছনে যারা আছে তাদের আমরা ধরতে পারি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি।'
এপিবিএন এর কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আফ্রিকা, দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে কোকেনের চালান। বাংলাদেশকে কোকেন পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বাংলাদেশের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মিজানুর রহমান বলেন, 'কী করবে, এটা পরবর্তীতে কোথায় যাবে তা পরের অনুসন্ধানে জানা যাবে। আমরা আসলে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারবো।'
এর আগে ২০১৫ সালে বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের চালানের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনারে নিয়ে আসা হয় বিপুল পরিমাণ তরল কোকেন। ওই মামলার মূল আসামিরা ধরাঁছোয়ার বাইরে থাকলেও কয়েক বছর আগে ৩৭০ লিটার তরল কোকেন মাটি চাপা দেয়া হয়।