তেল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সবজির বাজার, কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বাজারে এসে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, উন্নত মানের মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক দাম ধরা হয় ১৩০ টাকা। তবে বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ৬৫ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। চায়না রসুন ১৮০ থেকে ১৯০টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'সরবরাহ ঠিক থাকলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দাম বেড়ে যায়।'
এদিকে শতকের ঘর ছাড়িয়েছে বেগুন, কাঁকরোল, ঝিঙা, বরবটি, করলাসহ বিভিন্ন সবজি। সপ্তাহ ব্যবধানে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম।
সবজি বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'আমরা যেভাবে কিনে আনি সেভাবে বিক্রি করে লাভ করতে হবে। কেজি প্রতি ১০ টাকা লাভ করতে হবে।'
পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দর। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ১৯০ টাকা। এ ছাড়া ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালি, আর দেশি মুরগি মিলছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা কেজিতে।
যদিও কৃষি বিপণনের হিসাবে, প্রতি পিস ডিম খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ১০ টাকায় বেচার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকায়। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকটকে দুষছেন ক্রেতারা।
ডিম বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'সরবরাহ কম হচ্ছে এখন যার দাম একটু বেড়ে গিয়েছে। মানুষ নিচ্ছে না তেমন।'
দামের এমন দৌড়ে বেসামাল ক্রেতারা বলছেন, দুষ্টচক্রের কবলে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতার সুযোগে পণ্যের সংকটের মাধ্যমে ফায়দা লুটছে চক্রটি।
বাজার দরের এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলতে থাকলে প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দেয়া মুশকিল হয়ে যাবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকির দাবি ক্রেতাদের।