বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ২৫টি ওয়াগনে ৪০০টি গরু নিয়ে এবারের প্রথম ট্রেন ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশে। ব্যবসায়ীরা জানান, খরচ কমার পাশাপাশি পথে পথে চাঁদাবাজিসহ নানা ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন তারা। এছাড়াও কমেছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
গরু ব্যবসায়ী একজন বলেন, 'যদি ট্রাকে নিয়ে যাই তাহলে রিস্ক। ছিনতাইকারী রাস্তায় ধরে, ট্রাকের খরচ বেশি।'
আরেকজন বলেন, 'ট্রাকে একটা গরু নিতে হলে ১৮শ’ থেকে ২২শ’ টাকা খরচ পড়ে এতে আমাদের ব্যবসার লস হয়ে যাচ্ছে।'
ইসলামপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত পশু পরিবহনে প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। এতে ভালো সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও এমন পরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালুর বিষয়ে উর্ধ্বতন মহলের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জামালপুরের ইসলামপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, 'স্বল্প মূল্যে ও নিরাপদে তারা গরু নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। তারা এই বিশেষ সার্ভিস পেয়ে উপকৃত হচ্ছে।'
ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ বলেন, 'এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আমাদের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং নির্বিঘ্নে ঢাকায় পৌঁছে দিবে।'
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সাল থেকে কম খরচে কোরবানির পশু পরিবহনে ক্যাটল স্পেশাল নামে বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুন) জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে আরও দু'টি ট্রেন কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।