নাটোরের সিংড়া পৌরসভার সাপ্তাহিক পশু হাট কোরবানি ঈদ ঘিরে এখন বেশ জমজমাট। ঈদ এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক, একই সাথে বাড়ছে কেনা-বেচা।
গরু কেনাবেচায় নির্ধারিত হাসিল ক্রেতার সর্বনিম্ন ৩২২ থেকে সর্বোচ্চ ৫৫৫ টাকা এবং বিক্রেতার সর্বনিম্ন ৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা। এছাড়া ছাগলসহ অন্যান্য পশুর ক্ষেত্রে ক্রেতার সর্বনিম্ন ১০৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২১০ টাকা আর বিক্রেতার জন্য ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ টাকা।
জেলার বেশিরভাগ হাটেই নির্ধারিত হাসিলের বেশি আদায় করছে ইজারাদাররা। গরু কিনলে ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং বিক্রেতার ২০০ টাকা। আর ছাগলের ক্রেতা গুনছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। যা বিক্রেতার ক্ষেত্রে তা ৫০ থেকে ১০০ টাকা। পশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদ এলেই বেড়ে যায় হাসিলের পরিমাণ।
হাট পরিচালনায় বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি খরচ পোষাতে সহনীয় পর্যায়ে হাসিল আদায় করা হচ্ছে বলে জানান সিংড়া হাট কোম্পানির সদস্য আব্দুল হক।
তিনি বলেন, 'আমাদের নতুন করে অবকাঠামো তৈরি করতে হয়। আগে ২০ জন লোক দিয়ে হাট পরিচালনা করতাম। আর ঈদের সময় লাগে ৫০ জন। এই ব্যয়গুলো আমার হাটের থেকে দিতে হয়।'
নাটোরে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে হাট রয়েছে ২৫ থেকে ৩০টি। সুষ্ঠুভাবে হাট পরিচালনায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা ও পৌরসভাকে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁঞা বলেন, 'অতিরিক্ত হাসিল কেউ নিতে পারবে না। যদি কেউ নেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।'
এবার বছর নাটোরে গরু, ছাগলসহ কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার। এছাড়া ছাগল, ভেড়া, মহিষ রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ।