অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত কিলোফ্লাইটের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বাঙালি জাতি চিরকৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য তৎকালীন স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকরী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা এবং পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ 'স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৮ এ ভূষিত করে।
বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিকতা, দূরদর্শীতা এবং অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে আরও স্মরণ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তমকে যার বীরত্ব গাথা অবদানের জন্য অত্র ঘাঁটির পুনঃ নামকরণ করা হয়েছে।
নামকরণ অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বাবিবা ঘাঁটি বীর উত্তম সুলতান মাহমুদ এর এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি