ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দেড় মাসের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হয় গত ৪ জুন। বুথফেরত জরিপে আভাস দেয়া হয়েছিল মোদির দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তবে চূড়ান্ত ফলাফলে উল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, শরিকদের নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি।
জোট সরকার পরিচালনায় একেবারেই অভিজ্ঞতা নেই মোদির। প্রথমবারের মতো শরিকদের নিয়ে সরকার গঠনে এমনিতে চাপের মুখে আছে বিজেপি। এর ওপর তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। প্রত্যাশা চেয়ে অনেক বেশি আসন পায় বিরোধীরা।
এবার ভারতের শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির জন্য মোদি প্রশাসনকে দুষছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে। এমন আশার বাণী শুনিয়েছেন মোদি ও অমিত সাহা। তখন এই দুই বিজেপি নেতা বলেছিলেন, শেয়ারবাজারের সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে। ফল ঘোষণার আগে সবাইকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান অমিত সাহা।
নির্বাচনী ফলাফলের আগের দিন ভারতীয় স্টক মার্কেটের তালিকাভুক্ত ৫০টি বড় কোম্পানির শেয়ার ৩.৩ শতাংশ এবং বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির শেয়ার ৩.৪ শতাংশ বেড়ে যায়। অথচ ফল ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৬ শতাংশ নেমে যায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য। যা গত চার বছরের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে ধস।
কংগ্রেস নেতার দাবি, বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর কারসাজিতে পাঁচ কোটি পরিবার হারিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ কোটি রুপি। বিষয়টি তদন্তে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানান রাহুল।
তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড। এদিকে, টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।