লাগামহীন খেলাপিঋণ, রিজার্ভ ও ডলার সংকট এবং সুশাসনের সংকট চলছে দেশের ব্যাংকিং খাতে। চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ খাতের সংস্কারে চাপ রয়েছে আইএমএফের পরামর্শ ও শর্ত বাস্তবায়নের। ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে খেলাপি ঋণ। আর বাড়াতে হবে ডলারের রিজার্ভ।
এমন অবস্থায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট প্রস্তাবনায় আর্থিক খাতের সংস্কার করে টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও গভীরভাবে দেশের তৃণমূলের সাথে এই খাতকে সংযুক্ত করতে বেশ কিছু কার্যক্রমের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
আর্থিক ব্যবস্থার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল প্রজেকশন মডেলের কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে বাড়ানো হয়েছে আবগারি শুল্ক। এছাড়া ১৫ শতাংশ করে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রাখা রয়েছে।
অপরদিকে চলতি বছরের শুরুতে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। সূচক কমে দাঁড়ায় হাজার ৬২০০ পয়েন্টের ঘরে আর লেনদেন কমে নেমে আসে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
শেয়ারবাজারের এই সংকটময় সময়ে বাজেটে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে চাওয়া হয় বেশ কিছু প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা। এরই প্রেক্ষিতে এবারের বাজেটে বাজারের জন্য আসে কিছু সুবিধার ঘোষণা।
বাজেটে শর্ত সাপেক্ষে কমানো হয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর। সেই সাথে নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ার বিক্রি আয়ের সীমা।
প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থিক খাতের ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়নে বাংলাদেশ সিস্টেম রিস্ক ড্যাসবোর্ড প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।