অর্থনীতি
0

দক্ষ জনবল তৈরিতে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: এফবিসিসিআই

দেশের শিল্প কারখানায় দক্ষ জনশক্তির অভাবে মেশিনারিজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় অতিরিক্ত লোকবল দরকার হয়। উচ্চ বেতনের বিদেশ থেকে লোকবল আনতে হয়। এই অবস্থায় দেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর আরও জোর দিতে হবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইর দক্ষতা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, 'বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যা দেশের জন্য সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন জরুরি। দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সদিচ্ছা রয়েছে। সরকারকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের ব্যবসায়ীদের।'

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ বি.এম. শোয়েব বলেন, 'বর্তমান যুগ রোবটিকস, অটোমেশনের যুগ। অনেক শিল্প কারখানা আছে রোবটিকস, অটোমেশনে চলছে। কিন্তু তারপরেও গার্মেন্টস, স্পিনিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে চীন, জাপানের তুলনায় এখানে উৎপাদন কম। এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন খাতভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের বিষয় একাডেমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।'

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ভুঁইয়া। তিনি বলেন, 'উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতার অভাব থাকলে উৎপাদনশীলতা, রপ্তানি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি-সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে।'

সভায় বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্র ও করণীয় নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনে উন্নত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি সহজিকরণ, শিল্পের সাথে একাডেমির সমন্বয়, উন্নত প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে একাডেমিক কারিকুলাম সাজানো, লিঙ্গ বৈষম্য কমানো ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। —সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এসএস