দেশে এখন

'কড়া নজরদারির পরও চোরাই পথে ঢুকছে গরু'

ঈদুল আজহা ঘিরে দেশে চোরাই পথে গরু ঢুকছে। নানা কৌশলে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে গরু আনছে চোরাকারবারিরা। কিছু সীমান্তে কড়া নজরদারিতেও কাজ হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে অন্য বছরের চেয়ে বেশি পশু ঢুকছে বলে অভিযোগ করছে খামারিরা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

আজ (শনিবার, ১ জুন) রাজধানীর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্রে (সিরডাপ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) নেতারা।

২০১৪ সালে ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর চাহিদা মেটাতে গবাদি পশুর লালনপালন বাড়ে দেশে। বাড়তে থাকে খামারির সংখ্যা। কোরবানির ঈদে প্রতি বছর উদ্বৃত্ত থাকে ২০ লাখের বেশি পশু। এবারও চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ বেশি পশু প্রস্তুত আছে।

কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে চোরাইপথে হাজার হাজার গরু ঢুকছে দেশের বাজারে। মিয়ানমার ও ভারত থেকে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি গরু ঢুকছে বলে দাবি করেছে ৫৫ হাজার খামারির সংগঠন বিডিএফএ।

বিডিএফএ সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, 'ঈদুল আজহা সামনে রেখে নানা কৌশলে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে হাজার হাজার গরু। কিছু সীমান্তে কড়া নজর থাকলেও বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে অন্য বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি পশু ঢুকছে। কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার কোথাও তাদের সাথে যোগসাজসে আনা হচ্ছে এসব গরু।'

অনেক খামারির দাবি, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে অসুস্থ গরু। এসব গরু লবণ-পানি আর খড় ছাড়া কিছুই খায় না। এসব গরু আমদানি করে দেশিয় খামারিদের হুমকির মুখে ফেলা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, দেশের গরুতেই কোরবানির চাহিদা মিটবে। বিচ্ছিন ঘটনা ছাড়া চোরাইপথে আমদানির সুযোগ নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, 'আমরা আগেই আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতার তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। এটা আমরা সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করে বলে দিয়েছি। সুতরাং যারা মিয়ানমার থেকে গরু আনবে, তারা সেগুলো কোথায় বিক্রি করবে! আমাদের নিজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বেশি। বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য প্রতিবছরই এমন কথা শোনা যায়। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে, তবে ধারাবাহিকভাবে কোথাও থেকে কোনো গবাদিপশু আসছে না।'

এদিকে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায় পশুর প্রয়োজনীয় খাবার নেই। অনাহারে কিংবা পঁচা খাবার খেয়ে অনেক পশু নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও পড়েছে অনেক গবাদিপশু। চারণভূমি ডুবে যাওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না সবুজ ঘাস। অন্তত ২৫ লাখ গবাদি পশু ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান বিডিএফএ এর বক্তারা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর