বিদেশে এখন

তীব্র গরম ও পানি সংকটে নাভিশ্বাস দিল্লিবাসী

বিশুদ্ধ পানির অভাবে নাজেহাল দশা দিল্লির বেশিরভাগ এলাকার মানুষের। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে খাবার পানি। যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দিল্লিবাসীকে এ সংকটে পড়তে হয়েছে বলে জানায় রাজ্য সরকার। তাই হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও হিমাচল থেকে পানি সরবারহের জন্য সুপ্রীম কোর্টের কাছে আর্জি জানায় তারা।

পানির ট্যাংক দেখা মাত্র হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। বালতি, ড্রাম ও বোতলে করে যে যেভাবে পারছে পানি সংগ্রহে ছুটছে। পানির জন্য হাহাকারের এই চিত্র ভারতের রাজধানী দিল্লির।

গেল কয়েকদিন ধরেই দিল্লিতে বেড়েছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৫০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস পর্যন্ত। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির অভাব, সব মিলিয়ে দিল্লিবাসীর নাভিশ্বাস।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'লাইনে কোন পানি নাই। ট্যাংকের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেখানেও অনেক ভিড়ের মাঝে ঠেলাঠেলি করে পানি সংগ্রহ করতে হয়। যারা পানির জন্য আসে তাদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ পানি পায়।'

আরেকজন বলেন, 'এখানে অনেক লোক। আমার পরিবারেই তিন-চারজন বাচ্চাসহ বাবা-মা, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি থাকেন। ট্যাংক থেকে পানি নেয়ার সময় মাঝেমধ্যে আমরা আহত হয়ে যাই।'

পরিস্থিতির উত্তরণে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি সরকার। হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও হিমাচল থেকে দিল্লিতে ১ মাসের জন্য পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি রাজ্য সরকারের।

বিশুদ্ধ পানির জন্য যমুনা নদীর ওপর নির্ভর করতে হয় দিল্লিবাসীকে। তীব্র তাপদাহে এ নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সংকট। এর মধ্যে আবার হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে যে পরিমাণ পানি সরবারহের কথা তা করছে না বলেও অভিযোগ দিল্লি সরকারের।

তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় তীব্র গরম ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুকেই দুষছেন বিশ্লেষকরা।

সিঙ্গাপুরের গবেষক জিয়ানমার্কো মেনগালদো বলেন, 'গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলে আবহাওয়ার ধরনের বড় পরিবর্তন হয়েছে। এতে করে এ অঞ্চলে তীব্র গরম ও অতিরিক্ত বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ঘন ঘন বৃষ্টি ও আরও বেশি তাপপ্রবাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

দিল্লি ছাড়াও ভারতের মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুতে দেখা যায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর