পরিষেবা
অর্থনীতি
0

বিমান কি এয়ারবাসের দিকেই ঝুঁকছে!

অবশেষে এয়ারবাসের দিকেই ঝুঁকছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে কার্গো বিমান নয় চারটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাবটিতেই আগ্রহ বিমানের। বিমানের সদ্য বিদায়ী এমডি শফিউল আজিম বলছেন, বোয়িং ও এয়ারবাস কেনার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিমান বোর্ড থেকে এখন প্রস্তাবটি নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আজ (বুধবার, ২৯ মে) বলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বোয়িংয়ের ডানায় ভর করে উড়ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বহরের ২১টি উড়োজাহাজের ১৬টিই বোয়িং সিরিজের। যার মধ্যে অন্যতম ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মতোন অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ।

গেলো বছর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে ১০টি এয়ারবাস কেনার ব্যাপারে কথা হয়েছিলো ঢাকা-প্যারিসের। সেই অনুযায়ী এয়ারবাস দুটি প্রস্তাব দিয়েছিলো বিমানকে। এতোদিন এয়ারবাস কেনার বিষয়ে মুখে কুলুট এটে থাকলেও বিমানের বিদায়ী এমডি ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিলেন।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমডি জানান, এয়ারবাসের প্রথম প্রস্তাবটি ছিলো দুটি কার্গো বিমান বিক্রির। বিমানের পক্ষ থেকে কার্গোতে আগ্রহ না দেখে এয়ারবাস চারটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেয়। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো হওয়ায় বিমান বোর্ডে ওঠে। বোর্ড এই বিষয়ে এগোনোর নির্দেশনা দিয়ে প্রস্তাবটি নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা নিউইয়র্ক ফ্লাইটের জন্য আমরা সব প্রক্রিয়া শেষ করেছি। বাকিটা সিভিল অ্যাভিয়েশনের ওপরে। ঢাকা এয়ারপোর্ট ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত হবার অপেক্ষায়। বোয়িং ও এয়ারবাস কেনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে বিমানের ওপর কোনো চাপ নেই। বিমানের জন্য যেটা ভালো হবে আমরা সেটাই কিনবো। ক্রয় কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে। যেটাই কিনি বিমানের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা হবে।’

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমানের টিকিট বিক্রির সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাফ জবাব দেন বিমান এমডি।

তিনি বলেন, ‘বিমানে টিকিট বিক্রির কোন সিন্ডিকেট নেই। আমাদের টিকিটিং সিস্টেম সবার জন্য ওপেন। সবাই নিজের টিকিট নিজে কাটুন। এজেন্টসহ বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগীরাই এসব ছড়ায়।’

শেষ ১০ বছরে কোভিডের সময় ছাড়া বাকি ৮ বছরই লাভ করেছে বিমান। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে উন্নতি করতেও এ পর্যন্ত ১১শ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছে সংস্থাটি।

শফিউল আজিম বলেন, ‘ডলার সংকটের সময়েও আমরা লাভ করেছি। বিমান লস করলে বোয়িং, এয়ারবাস, কানাডা, জাপানসহ সবাই কেন আমার সাথে ব্যবসা করতে চায়? জাতীয় স্বার্থেই থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিমানের পাওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যে কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’

আসু

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর