এয়ারবাস, কলিনস অ্যারোস্পেস, প্র্যাট এন্ড উইটনি আর রোলস রয়েস, কি নেই ভারতের এই এয়ার শোতে। দেশটির বিমান খাত পৌঁছে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছাকাছি।
শুধু বহির্বিশ্বে নয়, এই বিমানের প্রদর্শনীতে নিজেদের যন্ত্রাংশগুলো বিশ্ববাজারে পরিচয় করিয়ে দিতে অংশ নিয়েছে দেশি অনেক প্রতিষ্ঠান। এমনই এক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গালুরুর হাইক্যাল টেকনোলজিস।
এই প্রতিষ্ঠান যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের এরোস্পেস প্রতিষ্ঠান রেয়থন টেকনোলজিস আর বোয়িংয়ে। লক্ষ্যমাত্রা, এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে তিন বছরে রাজস্ব আয় ৫০০ কোটি রুপিতে উন্নীত করা।
এরোস্পেস সক্ষমতায় নিজেদের প্রমাণ করেছে ভারত। আমাদের প্রকৌশলীরা এতো দক্ষ যে, আমরা বিশ্বমানের যন্ত্রাংশ তৈরি করছি। ২০ বছর লেগেছে এই জায়গায় পৌঁছাতে। নিজেদের প্রমাণ করেছি।
এই উন্নয়ন শুধু ভারতের নয়, পুরো এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। ২০১৯ এর পর ২০২৪ সালে রাজস্ব আয়ের পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ শতাংশ, যেখানে উত্তর আমেরিকা আর ইউরোপের ৩ থেকে ৪ শতাংশই রয়ে গেছে। জনবল আর দক্ষ প্রকৌশলীর কারণে বৈশ্বিক যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত।
ভারতের সম্পদের অভাব নেই। এই সম্পদ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা জরুরি। জনসংখ্যা আর প্রকৌশল দিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ হাজার কোটি ডলারের পণ্য সরবরাহ করেছে সারাবিশ্বের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে। নয়াদিল্লি এখন গুরুত্ব দিচ্ছে বিমানের যন্ত্রাংশ উন্নয়নে।
বিশ্বে আমরা আস্থার জায়গা তৈরি করেছি। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি। ভারত এখন অনেক বেশি বোয়িং আর এয়ারবাসের বিমান কিনছে। কয়েকবছর আগেও যা ভাবা যেতো না।
অ্যারোস্পেস ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ভারতের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি আগামী এক দশকে বিশ্বের বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ ব্যবস্থার ১০ শতাংশ দখলে নেবে। ২০৩৩ সাল নাগাদ অর্থের অঙ্কে যা পৌঁছাবে ২৫ হাজার কোটি ডলারে।