দেশে এখন
0

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আবারও ডুবলো বন্দর নগরী চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে আবারও ডুবলো বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিতে দেয়াল ধসে প্রাণ হারান এক যুবক। ভারি বৃ্ষ্টিতে নগরীতে পাহাড় ধসের শঙ্কাও আছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের রাতভর তাণ্ডবের পর আজ (সোমবার, ২৬ মে) ভোর ৬টার পর থেকেই শুরু হয় ভারি বর্ষণ। আকাশ ভেঙে নামা এ বৃষ্টি জানান দেয় যে বিদায় নিচ্ছে রিমাল। মাত্র তিন ঘন্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি ডুবিয়ে দেয় পুরো নগরী।

ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চল। আগ্রাবাদ, জিইসি, দুই নম্বর গেইট, টেক্সটাইল, মুরাদপুর, চকবাজার, প্রবর্তকসহ আরও বহু এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে যায়। বেশিরভাগ সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে, পানিতে ডুবে বিকল হয়ে যায় অনেক বাহন। যে ক'টি যানবাহন চলাচল করেছে তারাও আদায় করেছে বাড়তি ভাড়া।

পথচারি একজন বলেন, 'পানি জমে যাওয়ায় ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।'

জলবদ্ধতায় দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে নষ্ট হয় পণ্য আসবাব। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন নগরীর ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সাল থেকে চলমান রয়েছে একটি প্রকল্প। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও সুফল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নগরবাসীর। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের দাবী প্রতি বছর খাল নালা পরিষ্কারে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে সংস্থাটি। তারপরও জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি না মেলায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী।

নগরবাসীদের একজন বলেন, '২০১৭ সালে থেকে খাল পরিষ্কারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে তবে এখনো কাজ শেষ হয়নি। এত ধীর গতি হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েই যাচ্ছে।'

এদিকে জলাবদ্ধতায় নগরীর টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল ধসে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন।

ইএ