এই এলাকায় আছে বেশকয়েকটি বহুতল ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও আবাসিক মাদ্রাসা। এখানে এলপিজি সিলিন্ডারের বিশাল গুদাম যেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতংকের নাম। এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে গেলে সাংবাদিকদের ওপর তেড়ে আসে গুদামের কর্মচারিরা।
পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এরকম আরও একটি গুদামের সন্ধান মেলে, যেখানে হাজার হাজার সিলিন্ডার মজুত করে রাখার পাশাপাশি চলে মেরামতের কাজ। কখনও কখনও তীব্র রোদের মধ্যেও ফেলে রাখা হয় গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার। এছাড়া গুদাম থেকে গ্রাহককে সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয় অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে।
স্থানীয়রা বলেন, একটা আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম থাকা উচিত না। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা বারবার নিষেধ করার পরও গুদামের মালিক কথা শুনে না।
আতঙ্কিত বাসিন্দারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে গেলেও কোন প্রতিকার মেলেনি ।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল গনি ওসমান বলেন, 'কোন দুর্ঘটনা আগেই এটার সুরাহা করা উচিত। কারণ যেকোন মুহূর্তে এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'
১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন উদ্দিন বলেন, 'একটা গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম চালাতে গেলে অনেক আইন-কানুন মানতে হয়। কিন্তু তিনি আইনের তোয়াক্কা করছেন না।'
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনা তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া আরেকটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশিদ আনোয়ার বলেন, 'আমাদের একটি দল এ গুদাম পরিদর্শন করে। এরপর জেলা প্রশাসনকে অবগত করে।'
জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, 'সকলের সমন্বয়ে একটা যৌথ তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি। এই প্রতিবেদন পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।'
বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আগেই আবাসিক এলাকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম সরিয়ে নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।