শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি

এসএমই মেলায় ২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ

প্রায় ১৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি ও ২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ নিয়ে শেষ হলো সাত দিনব্যাপী জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মেলা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনশ'র বেশি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে মেলায় শতভাগ দেশিয় পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রি চলে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান এসএমই ফাউন্ডেশন বলছে, গতবারের চেয়ে এবারের মেলায় বিক্রির পাশাপাশি বেড়েছে অর্ডারও।

শেষদিনেও জমজমাট ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মেলা। শতভাগ দেশিয় পণ্যের এই মেলায় এবছর অংশ নিয়েছে তিনশ'র বেশি উদ্যোক্তা, যাদের মধ্যে ষাট শতাংশই নারী।

শেষদিনে মেলার প্রতিটি স্টলেই ছিল বেচাকেনার ব্যস্ততা। শেষ মুহূর্তে দেয়া বিশেষ ছাড়ের সুযোগ নিয়েছেন অনেক ক্রেতা।

ক্রেতাদের একজন বলেন, 'দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে আমরা অনেক কম দাম পণ্য কিনতে পারছি।'

বিক্রেতা বলেন, 'মেলার শেষ দিন উপলক্ষে সব পণ্যে ছাড় দেয়া হয়েছে।'

প্রথম দিকে তেমন সাড়া না মিললেও, শেষের দিনগুলোতে বাড়ে বিক্রি ও ক্রয়াদেশ। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, পণ্য তৈরি ও বিক্রিতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তদারকি বাড়ালে দিন দিন বাড়বে এসএমই পণ্যের প্রসার।

উদ্যোক্তাদের একজন বলেন, 'যদি ফরেন বায়ারদের অর্ডার নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া যেত তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমরা অধিক পণ্যের অর্ডার পেতাম।'

শনিবার ( ২৫ মে) বিকেলে সাত দিনব্যাপী মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে এসএমই ফাউন্ডেশন। জানানো হয়, মেলায় ১৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি ও ২০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। ভবিষ্যতে আঞ্চলিক পর্যায়েও এমন মেলা করার আশা তাদের।

এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. রাশেদুল করীম মুন্না বলেন, 'এই মেলা থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকার সেল হয়েছে এবং ২০ কোটি টাকার মতো অর্ডার পেয়েছে।'

উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারে আর্থিক সহায়তাসহ অন্যান্য সুবিধা সহজ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান এসএমই কর্তৃপক্ষ।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর