মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন

'রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি'

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইরান। ইরানের আর্মড ফোর্স বলছে, হেলিকপ্টারে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি। বিধ্বস্ত হওয়ার এক থেকে দেড় মিনিট আগে বহরের বাকি দুই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট।

গেলো ১৯ মে ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসিকে বহনকারী বেল টু ওয়ান টু হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এই হেলিকপ্টার ইরান কিনেছিলো ২০০০ সালে। ৪০ বছর পুরনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হেলিকপ্টার এখন আলোচনার তুঙ্গে। এই ঘটনায় চলছে তদন্ত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রথমবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইরানের আর্মড ফোর্সের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, শুরু থেকেই হেলিকপ্টার পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের রুটেই চলছিলো, ফ্লাইট রুটের পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু বিধ্বস্ত হওয়ার কিছু সময় আগে প্রেসিডেন্টের বহরের বাকি দুই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট।

হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া যায়নি বুলেটের অস্তিত্ব কিংবা হামলার কোনো আলামত। এমনকি ওয়াচ টাওয়ার আর ফ্লাইটের ক্রুর কথোপকথনও ছিলো একদম স্বাভাবিক। বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনার পর সোমবারই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বেল টু ওয়ান টু হেলিকপ্টারটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের যুগের। তবে শুধু এই এক হেলিকপ্টারের দিকে আঙুল না তুলে দেশটির পুরো এভিয়েশন খাতের দিকেই আঙুল তুলছেন বিশ্লেষকরা। ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরানে আকাশপথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি। গেল ২৪ বছরে দেশটিতে বিমানের বড় দুর্ঘটনা হয়েছে ২২টি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উড়োজাহাজ কিংবা যন্ত্রাংশ কিনতে পারছে না ইরানের সরকার। তাই জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে দেশটির এভিয়েশন খাত।

এদিকে বৃহস্পতিবার ইব্রাহীম রাইসিকে সমাহিত করা হয়েছে তার জন্মশহর মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে। শেষ জানাজায় অংশ নেয় লাখ লাখ মানুষ। এর আগে আরও তিন ধাপে তাবরীজ, কুওম আর তেহরানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাইসির।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর