গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা আর উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় সেনা বাড়িয়েছে ইসরাইল। এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। রাফায় নতুন করে প্রবেশ করেছে ইসরাইলের নাহাল ব্রিগেড। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলে মোতায়েন করা ১০টি সামরিক ব্রিগেডের মধ্যে এখন ৫টিই রাফায়। অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরেও ইসরাইলের সেনা অভিযান চলছে। যদিও হোয়াইট হাউজকে ইসরাইল জানিয়েছে, রাফায় সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনবে তারা।
এরমধ্যেই গতকাল (বুধবার, ২২ মে) নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন জানিয়েছে, আগামী ২৮ মে'র মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে তারা। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছেন, এতে করে আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসবে। যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবিও জানিয়েছে গাজাবাসী।
যদিও এই ঘটনায় খুব চটেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া মানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পুরস্কার দেয়ার সামিল। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে কোনদিনই শান্তি আসবে না। যদিও গাজাবাসীকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। এই ঘোষণার পর তিন দেশ থেকে অবিলম্বে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমারা যদি এই বিষয়ে ইতিবাচক হয়, ইসরাইল আরও আগ্রাসী হবে। তবে আসছে দিনগুলোর জন্য এই সিদ্ধান্ত বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টির মধ্যে ১৪৪টি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। এরমধ্যে আছে ভারত, চীন ও রাশিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুটিকয়েক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্স বলছে, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনও আসেনি। আর যুক্তরাষ্ট্র তো ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতেই ভেটো দিয়ে রেখেছে।
এদিকে হামাস নির্মূলের নামে রাফায় সেনা অভিযানের কারণে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে অন্তত ৯ লাখ ফিলিস্তিনিকে।