তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে বিশ্বের মাত্র ১২টি দেশের সঙ্গে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির নিজস্ব সরকার, সেনাবাহিনী ও মুদ্রা আছে। ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির বেশিরভাগ জনগণই চীনাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। তবে বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে আসছে।
দু'দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই গত সোমবার (২০ মে) শপথ নেন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে। শপথ অনুষ্ঠানে ৮ রাষ্ট্রপ্রধান এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডাসহ ৫১টি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল আমন্ত্রিত ছিলেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সময় থেকেই চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। এবার নতুন প্রেসিডেন্টও একইপথে হাটছেন।
প্রেসিডেন্ট লাই শপথ অনুষ্ঠানের ভাষণে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বলেন, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা হবে।
লাই চিং তে বলেন, 'তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ দিয়ে ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে চীনকে। তাইওয়ান ইস্যুতে চীন কোনো পদক্ষেপ নিলে তার কড়া জবাব দেয়া হবে।'
তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারির তিন দিনের মধ্যেই সামরিক মহড়া শুরু করে দিয়েছে চীন। স্থানীয় সময় আজ (বৃহস্পতিবার, ২৩ মে) সকালে তাইওয়ান প্রণালী এবং তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে মহড়া শুরু করে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এছাড়া, কিনমেন, মাতসু, উকিউ ও ডংগিন দ্বীপের আশেপাশেও চলছে মহড়া।
জয়েন্ট সোর্ড নামে সেনা, নৌ, বিমান ও রকেট বাহিনীর যৌথ সমন্বয়ে আগামীকাল (শুক্রবার, ২৪ মে) পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। সামরিক মুখপাত্র লি শি বলেন, 'তাইওয়ানকে চীন থেকে আলাদা করতে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের জবাব দিতে মূলত এই মহড়া। যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়াবে তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। তাইওয়ানে বহিরাগত কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না চীন।'
তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে অপরাধমূলক আচরণ বলছে চীন। এই অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই আঙুল তুলছে বেইজিং। তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র।