ইউক্রেন, গাজার পর বিশ্ব মোড়লদের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে তাইওয়ান। বিতর্কের জন্ম জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির দেশটির সংসদে দেয়া একটি ভাষণকে কেন্দ্র করে। চীন ও তাইওয়ান সংঘাতে জড়ালে জাপান তাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তাকাইচি। এরপর থেকেই অবনতির মুখে জাপান-চীন সম্পর্ক। এছাড়া, নিজ দেশেও বিতর্ক এড়াতে পারেনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার টোকিওর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সামনে জড়ো হয়ে কয়েকশো বিক্ষোভকারী স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড হাতে তাকাইচির চীন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এছাড়া, বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্রুত উত্তেজনা কমিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বানও জানান তারা
এদিকে, চলমান সংঘাতের মধ্যে তাইপেইতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পাথরের মতো দৃঢ়। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের বিষয়ে তাইওয়ান উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, ‘ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাভার গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। একারণে আমি ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ব্যাপারে আশাবাদী। এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক।’
এদিকে, চীনের বাড়তে থাকা হুমকির মুখে আত্মরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলারের সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষা বাজেট প্রণয়ন করবে তাইওয়ান। ২০৩০ সালের মধ্যে তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট ৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। মঙ্গলবার তাইওয়ানের রাষ্ট্র কার্যালয় জানায়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ তাইওয়ানের ২ কোটিরও বেশি মানুষ।
অন্যদিকে, তাইওয়ান ইস্যুতে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ চীন সহ্য করবে না বলে সাফ জানিয়েছে বেইজিং। বুধবার চীন সরকারের তাইওয়ান বিষয়ক মুখপাত্র জানান, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে কাউকে এক চুল ছাড় দেবে না চীন।
চীনা সরকারের তাইওয়ান বিষয়ক মুখপাত্র পেং কিনজেন বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমার কখনোই জাপানসহ অন্যান্য বিদেশি শক্তিকে তাইওয়ানে সামরিকতন্ত্র কায়েম করেতে দেব না। জাতীয় অখণ্ডতা ধরে রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তাইওয়ান ইস্যুতে দ্বন্দ্বের জেরে এর আগে পাল্টাপাল্টি নিজ দেশের নাগরিকদের এক অপরের দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে টোকিও ।





