ধান উৎপাদনে সমৃদ্ধ জেলা চুয়াডাঙ্গা। মাঠে-ঘাটে এখন পাকা ধানের ঘ্রাণ। তাপপ্রবাহের মাঝেও ধান কেটে এখন ব্যস্ততা মাড়াইয়ে। তবে কৃষকের দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে।
শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে মলিন হাসি। লোকসানের গ্যাঁড়াকলে ধানের দাম নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতায় জেলার অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক।
তারা বলেন, আমরা কষ্ট করে ফসল ফলাই কিন্তু আমাদের লাভ নাই। আর যারা ব্যবসা করছে তাদের অনেক লাভ। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারতেছি না। ধানের ন্যায্যমূল্য আমরা পাইতেছি না।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুপ্রকাশ চাকমা বলেন, 'কর্মকর্তা বদলি সংক্রান্ত জটিলতা, প্রকৃত কৃষকের তালিকা না পাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে সংগ্রহ অভিযানে দেরি হচ্ছে। তবে দ্রুতই জটিলতা কাটিয়ে প্রকৃত কৃষক থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করবো।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, 'আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮১০ টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।'
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে মাঠে যে ফসল বুনে ছিল কৃষক, ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সে মাঠেই এখন কৃষকের চোখের পানি। সঠিক দাম পেয়ে হাসি ফুটুক কৃষকের মুখে এটানটাই চাওয়া সকলের।