নাটোর সদরের উপজেলার মোহনপুর এলাকার কৃষক সবুজ আলী। সবেমাত্র দেড় বিঘা জমির রোপা-আমন ধান কাটার পর, সে জমিতেই রোপণ করছেন রসুন। রোপণের আগেই জমি প্রস্তুত করতে দিতে হয়েছে টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপি সার। তবে সারের বাড়তি দরের কারণে বিপাকে পড়েন এই চাষি।
রবিশস্য মৌসুম হওয়ায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রসুন, পেঁয়াজ, সরিষা ও ভুট্টা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বাজারে দেখা দিয়ে সব ধরনের সারের সংকট। এতে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় এই উপকরণ। চাষিদের অভিযোগ, চাহিদা বাড়ার কারণে এমন কৃত্রিম সংকট।
যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। বলছেন, সারের সরবরাহ তুলনামূলক কম। তাই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে সার বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
এদিকে, ভিন্ন চিত্র দেখা যায় নাটোরের রেলগেট এলাকার বাফার ও বিএডিসি গোডাউনে। নির্ধারিত সময়েই ৪ ধরনের সার উত্তোলন করছেন জেলার ১৩৪ ডিলার। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ বলছে, সারের কোনো সংকট নেই। এছাড়া ডিলারদের বিতরণের পরও মজুদ রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টন সার। শুধু দাম বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরির দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের।
নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমার জানা মতে, সারের কোনো সংকট নেই বা কেউ দাম বেশি নিচ্ছে না। তারপরও যদি কেউ বেশি দাম নিয়ে থাকে তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এছাড়া মনিটরিং কার্যক্রমকে আরো জোরদার করব।’
সারের এ সিন্ডিকেট ভাঙ্গা বেশ জরুরি বলে মনে করছেন কৃষকরা। না হলে আগামী দিনে তাদের এই বাড়তি খরচ পোষানো বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।