মিশর ও গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট রাফা'য় বিপুল সংখ্যক সেনার টহল বাড়িয়েছে ইসরাইল। বাড়িয়েছে ট্যাংকারের সংখ্যাও। তেল আবিবের হুঁশিয়ারি, যেকোনো মুহূর্তে গাজায় অভিযান চালাতে পারে তারা।
ইসরাইলি সেনাদের অভিযোগ, রাফায় লুকিয়ে রয়েছে হামাস সদস্যরা। আর হামাস নির্মূলই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য হাসিলেই এবার রাফার দিকে হাত বাঁড়িয়েছে তেল আবিব। অথচ লাখো ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন এই রাফা সীমান্তে।
ইসরাইলের রক্তচক্ষু যখন রাফার দিকে তখন জীবন বাঁচাতে তল্পিতল্পসহ এখান থেকে চলে যেতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। রওয়ানা দিতে হচ্ছে অজানা গন্তব্যে।
স্থানীয় একজন বলেন, আল্লাহ জানেন, আমরা কোথায় যাব? অজানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো স্থানান্তরিত হচ্ছি। গাজা শহরে আমাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। প্রথমে গাজা শহর থেকে খান ইউনিসে যাই। পরে সেখান থেকে রাফায় আসি। এবার এই জায়গা ছেড়েও চলে যেতে হচ্ছে।'
তেল আবিব বলছে, রাফায় স্বল্প পরিসরে অভিযান চালাবে ইসরাইলি সেনারা। অথচ তাদের কর্মকাণ্ড দেখে এরইমধ্যে জাতিসংঘের শঙ্কা জানিয়েছে, রাফায় এবার বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। এরইমধ্যে সীমান্তে খাদ্যসহ জরুরী সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট।