আজ (শনিবার, ২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্সের এ সম্মিলনে মোট ১৪টি সেশনে বিটিআরসির কর্মকর্তা, টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
৮২ জন ফেলোর অংশগ্রহণে তিন দিনে বৈশ্বিক ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বিগ ডাটা , ডোমেইন নেইম সিস্টেম (ডিএনএস), ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও নিরাপদ ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ডাটা প্রটেকশন, টেলিযোগাযোগ ও ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড সম্পর্কে আলোচনা ও এই বিষয়ে হাতে-কলমে শেখানো হয়।
প্রধান অতিথি জানান, প্রযুক্তি মানুষের জন্য, তাই প্রযুক্তির সাথে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইডের ধরণ ভিন্ন।
সময়ের সাথে মানুষ নিজ প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে উল্লেখ করে মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা চালকবিহীন গাড়ির চেয়ে আমাদের জরুরি প্রয়োজন উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা।'দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।'
এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক আলোনায় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, 'টাওয়ার থেকে নির্গত রেডিয়েশন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, তাই টাওয়ার স্থাপনে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।'
দেশে ব্যবহৃত অধিকাংশ স্মার্টফোন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশের ১৭টি কারখানায় মোট চাহিদার ৯৬ শতাংশ মোবাইল ফোন দেশে উৎপাদন হচ্ছে।'
বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনুর অনুসঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, বিটিআরসির সচিব নূরুল হাফিজ, এটুআই'র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো. শাহরিয়ার হাসান জিসান, প্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।